মোঃ কয়েছ মিয়া ঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ডাকে এবং পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোচরদের নির্মম অত্যাচার স্বচে দেখে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। পরিবার-পরিজনদের লুকিয়ে দেশমাতৃকাকে শত্র“ মুক্ত করার প্রয়াসে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি । দীর্ঘ দিন যুদ্ধ করার পর স্বাধীনতা পেয়েছি এটা সত্য । কিন্তু আমরা যারা যুদ্ধ করেছি,আমরা কেমন আছি এই খবরটি নেওয়ার তাগিদ অনুভব করে না কেউ। একাত্তরের রণাঙ্গনে গুলি বিদ্ধ হয়ে আজ আমি অচল প্রায় । এখনও আঘাত প্রাপ্ত স্থানে ব্যাথা অনুভব করি । কিন্তু কেউ আমার দিকে ফিরে তাকায় না । দেশ স্বাধীন করে অবহেলা ব্যতিত আর কিছুই পাইনি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ডাকে এবং পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোচরদের নির্মম অত্যাচার স্বচে দেখে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। পরিবার-পরিজনদের লুকিয়ে দেশমাতৃকাকে শত্র“ মুক্ত করার প্রয়াসে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি । দীর্ঘ দিন যুদ্ধ করার পর স্বাধীনতা পেয়েছি এটা সত্য । কিন্তু আমরা যারা যুদ্ধ করেছি,আমরা কেমন আছি এই খবরটি নেওয়ার তাগিদ অনুভব করে না কেউ। একাত্তরের রণাঙ্গনে গুলি বিদ্ধ হয়ে আজ আমি অচল প্রায় । এখনও আঘাত প্রাপ্ত স্থানে ব্যাথা অনুভব করি । কিন্তু কেউ আমার দিকে ফিরে তাকায় না । দেশ স্বাধীন করে অবহেলা ব্যতিত আর কিছুই পাইনি
। আমার শেষ জীবনের আশা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করা মৃত্যুর আগে আমার এই আশা পূরণ হবে কি? বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় একবার তার সাথে দেখা করে মনের দুঃখ খোলে বলার সুযোগ পেয়েছিলাম । এবার যদি শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে মনের সব দুঃখ গুলো বলতে পারি তাহলে মরেও শান্তি পাব । উপরোক্ত কথাগুলো বলেন এক্ত্তারের রণাঙ্গনের অকোতোভয় যুদ্ধাহত বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ গুলজার আলী । তার পিতার নাম মৃত খোয়াজ আলী সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার থানার জিরার গাঁও গ্রামের । বর্তমানে ওসমানীনগর থানার তেরহাতি গ্রামে অন্যের বাড়িতে থেকে জীবন যাপন করছেন । মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতিচারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে পরিবারের অগোচরে রাতের আধাঁরে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্য পায়ে হেঁটে ভারতের চেলা নামক স্থানে সমবেত হই সেখান থেকে বাসযোগে আমি সহ প্রায় ৫০জনকে নেওয়া হয ভারতের মেঘালয়ে । সেখানে একটানা ৩০ দিন ট্রেনিং শেষে বাংলাদেশে এসে ল্যান্স জেনারেল (অব) মীর শওকত আলী বীর উত্তমের অধীনে ৫নং সেক্টরে যুদ্ধ শুরু করি । সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার নামক স্থানে পাক বাহিনীর সহিত সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ঘাঁড়ে গুলি লাগে তাৎনিকভাবে আমাকে ভারতের চেলা হাসপাতালে নিয়ে গুলি বের করা হয় । সেখানে কিছু দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসি রণেেত্র হাতে তোলে নেই এস.এল.আর শত শত পাক বাহিনী কে পরাজিত করে আমরা স্বাধীনতার লাল সুর্যটি ছিনিয়ে আনতে সম হই । ষাটর্ধো আহত এই মুক্তিযুদ্ধা কান্না জনিত কন্ঠে বলেন সামান্য ভাতা পেলেও রোগ আর অভাবের সংসার এসব দিয়ে চলেনা মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইতে হয় । তিনি আরো বলেন আমার কোন পুত্র সন্তান নেই । নেই কোন ঘর বাড়ি অন্যের বাড়িতে থেকে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনানিপাত করছি । এটাই কি ছিল আমাদের চাওয়া এবং পাওয়া । আজকাল নিজেকে মুক্তি যুদ্ধা পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করি । যারা এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপে ছিল তাদের দাপটে আমার মত মুক্তি যুদ্ধারা অসহায় । শেষ জীবনে এই বীর মুক্তি যোদ্ধার চাওয়া পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার একটাই চাওয়া আমি যেন মৃত্যুর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া শেখ হাসিনার সরাসরি দেখা করে মনের মধ্যে লুকানো কষ্ট আর যন্ত্রণা তাকে শুনাতে পারি ।