ইমাদুল হক প্রিন্স : স্বেচ্ছায় গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষদেরকে নিজেদের শরীরের তাজা রক্ত দিয়ে জীবন বাচিয়ে সবাইকে রক্তের বন্ধনে বেধে চলেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের একমাত্র সংগঠন ‘‘বাঁধন’’। যার কার্যক্রম প্রথমে শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ সালের ২৫
ফেব্রুয়ারী ‘‘বাঁধন এর কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ‘‘বাধন’’ পবিপ্রবি ইউনিট এর কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে। আমাদের দেশে অতীত বছরগুলোতে শত শত রোগী মাত্র এক ব্যাগ রক্তের অভাবে অসংখ্য সম্ভব্য রক্তদাতা থাকা সত্বেও প্রয়োজন মতো রক্ত পাওয়া খুবই কঠীন ব্যাপার ছিল। আর দেশের সরকারী বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে ছিল পেশাদার রক্তদাতাদের রক্ত। অসহায় রোগির স্বজনরা জীবন বাঁচানোর তাগিদেও বাধ্য হতো ওইসব পেশাদার রক্তদাতাদের দূষিত রক্তগ্রহণ করতে। কিন্তু এখন আর পেশাদার রক্তদাতাদের হাসপাতাল গুলোতে দেখা যায়না বললেই চলে। এর একমাত্র কারন ‘‘বাঁধন’’। মানুষের জীবনে কখনো কখনো এক ব্যাগ রক্তই হয়ে ওঠে মহা মূল্যবান। অনেক সময় টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় একটি মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন। তখন ঐ রোগী বা স্বজনদেরকাছে এক ব্যাগ রক্তের মূল্য কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এই রক্তদান কর্মসূচিটা ‘‘বাঁধন’’ বিনামূল্যে তার সদস্য এবং রক্তদাতারা করে থাকে। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। এই মহাৎ কাজের মূল্য কেউ টাকা দিয়ে পরিশোধ করতে পারবেনা। এক ব্যাগ রক্ত কখনো কখনো একটি মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে ছিনিয়ে আনে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সত ও পর উপকারী একদল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী কতৃক পরিচালিত হচ্ছে ‘‘বাঁধন’’ পবিপ্রবি ইউনিট। প্রতিষ্ঠার শুরুতে পবিপ্রবি ছিল বাঁধন পরিবার। কিন্তু খুব অল্প সময়ের ব্যাবধানে পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন ইউনিটে উত্তীর্ন হয় । বর্তমানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিট কমিটি এবং প্রতি হলে একটি করে হল কমিটি দ্বারা বাঁধন পবিপ্রবি ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে। আগামিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃস্ত ক্যাম্পাস বাবুগঞ্জে ছাত্র হল ও ছাত্রী হলে কমিটি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ক্যাম্পাসে একটু অবসর পেলেই বিভিন্ন কর্মকান্ডে মাতে সবাই। তারুণ্যের পদচারণা, সংগীতের আসর, জটিল বিষয়াবলী ও সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে চলে আলোচনা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে চলে প্রাকটিস। কিন্তু দুরন্ত ছুটে চলা তরুণ-তরুণিদের দেখলে যে কেউ বুজতে পারবে বাঁধন কর্মীরা রক্তের সন্ধানে ছুটাছুটি করছে। এ সেচ্ছাসেবি সংগঠনের কর্মীরা ২৪ ঘন্টাই ব্যস্তময় দৈনন্দিন জীবন কাটায়। সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়ে বাঁধন কর্মীরা চালিয়ে যায় তাদের মানব সেবা। রক্তের কথা শুনলেই স্মৃতির মানস পটেই ভেসে ওঠে অসহায় দুস্থ মানুষের কষ্টের কথা। ছুটে যায় বাঁধন কর্মীরা রক্ত সন্ধান করতে। কারন তাঁরা মনে করে মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। মনে হয় এ যেন এক আত্মার টানে ছুটে চলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী কারনে অকারনে অনেক টাকা নষ্ট করে থাকে। কিন্তু বাঁধন কর্মীরা টাকা নষ্ট না করে এই সংগঠনের কাজে ব্যয় করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় মুমুর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে রক্ত সরবরাহ করার জন্য ডোনারকে নিয়ে যাওয়া আসা। বিভিন্ন সময় মোবাইল খরচ ইত্যাদি । তবে এসব ক্ষেত্রে বাঁধন কর্মিদের অনেক টাকা ব্যায় হলেও মানব সেবা করতে পেরে বাঁধন কর্মিরা অনেক অনেক খুশি ও আনন্দিত। বাঁধন এর কার্যক্রম আরো গতিময় করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের একটি কক্ষ বরাদ্দ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি এবং রেজিস্ট্রার মোঃ নওয়াব আলী খাঁন ‘‘বাঁধন’’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ‘‘বাঁধন’’ কর্মিদের কান্ডারি হিসেবে হাল ধরেছেন। পাশাপাশি রয়েছেন প্রধান উপদেস্টা প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, উপদেস্টা প্রফেসর বদিউজ্জামান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহম্মদ শহিদুল্লাহ এবং গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মি মুহাম্মদ ইমাদুল হক। বিভিন্ন কর্মকান্ডে তাদের উৎসাহ পবিপ্রবি ‘‘বাঁধন’’ ইউনিট দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। এই স্বনামধন্য সামাজিক সংগঠন ‘‘বাঁধন’’ এ কাজ করছেন একঝাক নিঃশ্বার্থ পরোপকারী পরিশ্রমী সৈনিক তাদের মধ্যে সাবেক সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম, ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম সোহাগ, মোমেনা আক্তার সুইটি, সোলায়মান রাকিব, বর্তমান সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন মিঠু, সাধারন সম্পাদক শরিফুল, কোষাক্ষ হাবিুর রহমান, মুনিরুজ্জামান, বিথী, রোমানা, রাসনা, হাসান, সুপ্রিয়া ও সোনিয়াসহ আরো অনেকে ক্যাম্পাসের সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিযেদের কার্যক্রম ত্বরিত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বাঁধন পবিপ্রবি ইউনিটের অর্জনঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ লোককে (ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের) রক্তের নির্ভুল গ্রুপ জানাতে স্বক্ষম হয়েছে। ক্যাম্পাসে রয়েছে ‘‘বাঁধন’’ চত্বর ও একটি অফিস রুম। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয়পত্রে রক্তের গ্রুপ সংযোজন। ভর্তির সময় রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। প্রতিটি আবাসিক হলে নোটিশ বোর্ড স্থাপন। নিয়মিত রক্তদান বৃদ্ধি ও রক্তদানের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তি দুমকি এলাকার চারশত কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্ত্রর্জাতিক দিবসে শহীদ মিনার জয়বাংলা ও শহীদ বেধীতে ফুল ও অত্র এলাকায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচী। বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান পালন। ‘‘বাঁধন’’ কেন্দ্রীয় ও পবিপ্রবি ইউনিটের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। ডোনার সম্মাননা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান উদযাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। বাঁধনের সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রক্তদাতা মোমেনা মেহরিন সুইটি, শরীফ, মৈত্রী, নীলিমা মন্ডল, নাসরিন সুলতানা সুমি ও সোলায়মান রাকিবসহ আরো অনেকে জানান, আমাদের দেশের কৃষক-শ্রমিক, গরীব-দিনমজুরদের ঘাম ঝরানো উপার্যনের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পড়াশোনা করছি। কিন্তু তাদের কিছুই দিতে পারিনা। তাই নিযেদের দাবদ্ধতা থেকে গরীব আসহায় ও দুস্থ রোগী যারা রক্তের প্রয়োজন হলে রক্ত কিনতে পারেনা তাদেরকে নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে কিছুটা দায়মুক্ত হবার চেষ্টা করি। সংগঠনটি রক্তদানে শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষকে উৎসাহিত করে আসছে এবং পেশাদার রক্তদাতাদের দূষিত রক্তের হাত থেকে মানুষকে বাচানোর লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই পথচলা আরো সুন্দর ও সার্থক হোক এটাই সবার প্রত্যাশা।
ফেব্রুয়ারী ‘‘বাঁধন এর কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ‘‘বাধন’’ পবিপ্রবি ইউনিট এর কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে। আমাদের দেশে অতীত বছরগুলোতে শত শত রোগী মাত্র এক ব্যাগ রক্তের অভাবে অসংখ্য সম্ভব্য রক্তদাতা থাকা সত্বেও প্রয়োজন মতো রক্ত পাওয়া খুবই কঠীন ব্যাপার ছিল। আর দেশের সরকারী বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে ছিল পেশাদার রক্তদাতাদের রক্ত। অসহায় রোগির স্বজনরা জীবন বাঁচানোর তাগিদেও বাধ্য হতো ওইসব পেশাদার রক্তদাতাদের দূষিত রক্তগ্রহণ করতে। কিন্তু এখন আর পেশাদার রক্তদাতাদের হাসপাতাল গুলোতে দেখা যায়না বললেই চলে। এর একমাত্র কারন ‘‘বাঁধন’’। মানুষের জীবনে কখনো কখনো এক ব্যাগ রক্তই হয়ে ওঠে মহা মূল্যবান। অনেক সময় টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় একটি মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন। তখন ঐ রোগী বা স্বজনদেরকাছে এক ব্যাগ রক্তের মূল্য কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এই রক্তদান কর্মসূচিটা ‘‘বাঁধন’’ বিনামূল্যে তার সদস্য এবং রক্তদাতারা করে থাকে। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। এই মহাৎ কাজের মূল্য কেউ টাকা দিয়ে পরিশোধ করতে পারবেনা। এক ব্যাগ রক্ত কখনো কখনো একটি মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে ছিনিয়ে আনে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সত ও পর উপকারী একদল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী কতৃক পরিচালিত হচ্ছে ‘‘বাঁধন’’ পবিপ্রবি ইউনিট। প্রতিষ্ঠার শুরুতে পবিপ্রবি ছিল বাঁধন পরিবার। কিন্তু খুব অল্প সময়ের ব্যাবধানে পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন ইউনিটে উত্তীর্ন হয় । বর্তমানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিট কমিটি এবং প্রতি হলে একটি করে হল কমিটি দ্বারা বাঁধন পবিপ্রবি ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে। আগামিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃস্ত ক্যাম্পাস বাবুগঞ্জে ছাত্র হল ও ছাত্রী হলে কমিটি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ক্যাম্পাসে একটু অবসর পেলেই বিভিন্ন কর্মকান্ডে মাতে সবাই। তারুণ্যের পদচারণা, সংগীতের আসর, জটিল বিষয়াবলী ও সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে চলে আলোচনা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে চলে প্রাকটিস। কিন্তু দুরন্ত ছুটে চলা তরুণ-তরুণিদের দেখলে যে কেউ বুজতে পারবে বাঁধন কর্মীরা রক্তের সন্ধানে ছুটাছুটি করছে। এ সেচ্ছাসেবি সংগঠনের কর্মীরা ২৪ ঘন্টাই ব্যস্তময় দৈনন্দিন জীবন কাটায়। সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়ে বাঁধন কর্মীরা চালিয়ে যায় তাদের মানব সেবা। রক্তের কথা শুনলেই স্মৃতির মানস পটেই ভেসে ওঠে অসহায় দুস্থ মানুষের কষ্টের কথা। ছুটে যায় বাঁধন কর্মীরা রক্ত সন্ধান করতে। কারন তাঁরা মনে করে মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। মনে হয় এ যেন এক আত্মার টানে ছুটে চলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী কারনে অকারনে অনেক টাকা নষ্ট করে থাকে। কিন্তু বাঁধন কর্মীরা টাকা নষ্ট না করে এই সংগঠনের কাজে ব্যয় করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় মুমুর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে রক্ত সরবরাহ করার জন্য ডোনারকে নিয়ে যাওয়া আসা। বিভিন্ন সময় মোবাইল খরচ ইত্যাদি । তবে এসব ক্ষেত্রে বাঁধন কর্মিদের অনেক টাকা ব্যায় হলেও মানব সেবা করতে পেরে বাঁধন কর্মিরা অনেক অনেক খুশি ও আনন্দিত। বাঁধন এর কার্যক্রম আরো গতিময় করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের একটি কক্ষ বরাদ্দ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি এবং রেজিস্ট্রার মোঃ নওয়াব আলী খাঁন ‘‘বাঁধন’’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ‘‘বাঁধন’’ কর্মিদের কান্ডারি হিসেবে হাল ধরেছেন। পাশাপাশি রয়েছেন প্রধান উপদেস্টা প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, উপদেস্টা প্রফেসর বদিউজ্জামান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহম্মদ শহিদুল্লাহ এবং গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মি মুহাম্মদ ইমাদুল হক। বিভিন্ন কর্মকান্ডে তাদের উৎসাহ পবিপ্রবি ‘‘বাঁধন’’ ইউনিট দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। এই স্বনামধন্য সামাজিক সংগঠন ‘‘বাঁধন’’ এ কাজ করছেন একঝাক নিঃশ্বার্থ পরোপকারী পরিশ্রমী সৈনিক তাদের মধ্যে সাবেক সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম, ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম সোহাগ, মোমেনা আক্তার সুইটি, সোলায়মান রাকিব, বর্তমান সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন মিঠু, সাধারন সম্পাদক শরিফুল, কোষাক্ষ হাবিুর রহমান, মুনিরুজ্জামান, বিথী, রোমানা, রাসনা, হাসান, সুপ্রিয়া ও সোনিয়াসহ আরো অনেকে ক্যাম্পাসের সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিযেদের কার্যক্রম ত্বরিত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বাঁধন পবিপ্রবি ইউনিটের অর্জনঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ লোককে (ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের) রক্তের নির্ভুল গ্রুপ জানাতে স্বক্ষম হয়েছে। ক্যাম্পাসে রয়েছে ‘‘বাঁধন’’ চত্বর ও একটি অফিস রুম। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয়পত্রে রক্তের গ্রুপ সংযোজন। ভর্তির সময় রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। প্রতিটি আবাসিক হলে নোটিশ বোর্ড স্থাপন। নিয়মিত রক্তদান বৃদ্ধি ও রক্তদানের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তি দুমকি এলাকার চারশত কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্ত্রর্জাতিক দিবসে শহীদ মিনার জয়বাংলা ও শহীদ বেধীতে ফুল ও অত্র এলাকায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচী। বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান পালন। ‘‘বাঁধন’’ কেন্দ্রীয় ও পবিপ্রবি ইউনিটের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। ডোনার সম্মাননা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান উদযাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। বাঁধনের সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রক্তদাতা মোমেনা মেহরিন সুইটি, শরীফ, মৈত্রী, নীলিমা মন্ডল, নাসরিন সুলতানা সুমি ও সোলায়মান রাকিবসহ আরো অনেকে জানান, আমাদের দেশের কৃষক-শ্রমিক, গরীব-দিনমজুরদের ঘাম ঝরানো উপার্যনের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পড়াশোনা করছি। কিন্তু তাদের কিছুই দিতে পারিনা। তাই নিযেদের দাবদ্ধতা থেকে গরীব আসহায় ও দুস্থ রোগী যারা রক্তের প্রয়োজন হলে রক্ত কিনতে পারেনা তাদেরকে নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে কিছুটা দায়মুক্ত হবার চেষ্টা করি। সংগঠনটি রক্তদানে শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষকে উৎসাহিত করে আসছে এবং পেশাদার রক্তদাতাদের দূষিত রক্তের হাত থেকে মানুষকে বাচানোর লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই পথচলা আরো সুন্দর ও সার্থক হোক এটাই সবার প্রত্যাশা।
এই লেখার বানান বা অভিমত সংশ্লিষ্ট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
পূর্বে প্রকাশ :