অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবী :: বাংলাদেশের কৃতি সন্তান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হবার গঠনায় সারা বিশ্বের মানুষ বাকহারা! বিশ্ব বিবেক বুঝতে পারছে না যে কি হচ্ছে দেশে।
এ কেমন স্বাধীন, সভ্য, সোনার বাংলাদেশ! গণতান্ত্রিক ঢেকুর
বাংলাদেশের সংবিধানে ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি লেখা আছে। এই শব্দের নামেই এখন দেশ চলছে। যদিও বাংলাদেশে এই তন্ত্রটির চেহেরা-সুরত একটু ভিন্ন, অন্য দেশ থেকে আলাদা। অবশ্য আমি গণতন্ত্র বলতে যা বুঝায় তার সাথে মোটেই একমত নই। এটি অন্ধের হাতি দেখার ন্যায়। যে যা বুঝে। অথবা বিধবার তালতো ভায়ের মত। মহামতি আব্রাহাম লিংকন ডেমোক্রেসি (Democracy) বলতে ‘ফর দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল’ বললেও সে সংজ্ঞা বাংলাদেশের বেলায় শুধু নয় বিশ্বের কোথাও কখনো প্রয়োগ হতে দেখা যায় নি।
ইউরোপের যে গণতন্ত্রের কথা আমরা বলি-উপমা দেই তা এলজেবরার থিউরীর মত। যেখানে সব ধরণের রেখা এক সাথে বসবাস করে। আমেরিকান গণতন্ত্রের সংজ্ঞা তো আপনি জানেন। দেশটি স্বার্থ, ভৌগলিক সীমারেখা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিরূপন করে থাকে। আমেরিকা অবস্থা বুঝে সের, কেজি ও ছটাক পরিমানে উক্ত তন্ত্রটি সাপ্লাই দেয়। সোজা কথায় বলা যায়, তেল নেই গণতন্ত্র চাই, তেল আছে গণতেন্ত্রর নামে মানুষ মারুন-নো প্রবলেম।
অবশ্য বাংলাদেশে ’৭১ সালে গণতন্ত্রকে আরো সুসংহত করার একটি সুযোগ ছিল, বাকশাল কায়েম এবং রক্ষী বাহিনী গঠন করে সিরাজ শিকদার সহ হাজার হাজার জাসদ কর্মী হত্যার মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সে সোনালী দ্বার রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন। চলতে লাগলো রক্ত, খুন আর গুম নিয়ে তামাশা। পাশবিক ভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হল স্বপরিবারে। শুরু হল অগণতান্ত্রিক, অমানবিকতার রসময় চর্চা। বাকশালের দুঃশাসনের পথ ধরে জিয়াউর রহমান এলেন ক্ষমতায়। জিয়ার হ্যাঁ, না ভোট ছিল গণতন্ত্রের নতুন ব্যবসা। হা-ভাতের জাত বাংলাদেশের মানুষ সে দিন ‘হ্যাঁ’ বলেন নি, হা করেছিল। হা করে তাঁরা ভাত চেয়েছিল। ক্ষুধা-ভোগের কথা বলেছিল।
মরহুম জিয়া অনেকগুলি দল নিয়ে গঠন করলেন বিএনপি। নেতাদের পদ-পদবী দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন নানা মত ও পথ। জিয়া চালালেন গণতন্ত্রের নামে নব্য বাকশাল।–জাবাকশাল। জাতীয়তাবাদী বাকশাল। হত্যা করা হল কর্ণেল তাহের সহ অগণিত সেনা-জনতাকে।
বাংলাদেশ থেকে হত্যা, গুম এবং রক্তপাত কখনো বন্ধ হয় নি। নামে-বেনামে, প্রকাশ্যে-গোপনে, বিচারের নামে, গণতন্ত্রের ব্যানারে অবিচার সব সময় হয়েছে। অবশ্য, বাংলাদেশে এ সব এখন হচ্ছে কি না আমি জানি না। যদি বলি দেশের মানুষ কষ্টে আছে, এ্যামনেস্ট্রি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ, আওয়ামী লীগের ভায়েরা বলবেন আমি বিএনপির লোক।
আর যদি বলি দেশ ভালই চলছে, ইলিয়াস আলী সহ চার শতাধিক লোক নি খোঁজ হয় নি, ১০০ জন ক্রসেডারের কথা সত্য নয়, সীমান্তে বাংলাদেশীদের পশুর মত গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে না, বাংলাদেশের ভেতরে বিএসএফের ঘাঁটি নেই, সুরঞ্জিত (অনেকে বলেন, চোর রঞ্জিত বা সুর রঞ্জিত) চুরি করে নি, তখন বিএনপির ভক্তরা বলবেন আমি আলীগের চামচা, ভারতের দালাল (কারণ, আমি অসত্যকে করতে চাই হালাল)।
যদি বলি, এ সরকারের আমলেই ইসলামের উপর বেশী আঘাত এসেছে, তা হলে নাস্তিকেরা সুর তুলবেন, আমি আমিনীর লোক। আর যদি সত্য কথা না লিখি আল্লাহর কাছে হবো মিথ্যাবাদী-গুনাগার। আবার এ লেখাটি যদি একটু পাঠযোগ্য হয় আমার স্ত্রী পাবে কষ্ট। এখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রূপ এ রকমই। যা সত্য তা মিথ্যা, যা মিথ্যা তাই সত্য। তার পরও স্রষ্টার নিকট দায়মুক্তি এবং বিবেকের তাড়নায় গভীর রাত জেগে এ প্রবন্ধটি লিখছি। ইলিয়াস আলীর ছোট শিশুটির চোখের পানিতে আমার চেতনা যেন সিক্ত হয়ে উঠছে। হৃদ-কলম টেনে ধরে যেন অভিশাপ দিচ্ছে এত জুলুমের পরও কলম ধরছি না বলে।
দেশের প্রতিও আমার তো আমার দায়বদ্ধতা আছে। দেশের কথা সব সময় মনে পড়ে। কারণ, দেশে কোন তন্ত্র না থাকলেও মা-বাবার কবর আছে। তাঁদের জন্য মন কাঁদে। আমি আমার মা-বাবার কবর চিনি। মা বাবার মৃত্যুর দিন তারিখ জানি বলে সময় মত জেয়াফত- জিয়ারত করতে পারি, কিন্তু হায়, ইলিয়াসের পরিবার তো সে শেষ ভরসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে!
হে গণতন্ত্র, কান্না শোন
ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে নাকি তাঁকে চিরতরে ঘুম পাড়ানো হয়েছে তা একজন ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। আজও (২২.০৫.’১২) স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁকে খুঁজে বের করা হবে। গত তিন দিন আগে নাট্যকর্মী তারানা হালিম এমপি নাটকীয় সুরে বলেছেন ‘ইলিয়াস আলী সুস্থ আছেন’। এর অর্থ তাঁরা জানে ইলিয়াস কোথায়। তা হলে একজন মানুষের জীবন নিয়ে কেনই বা এ ভাওতাবাজি-রসিকতা-নাটক জাতি বুঝে না।
ইলিয়াসের মা এখনো দরজায় বসে পথ পানে চেয়ে আছে। কবে তাঁর ছেলে বুকে ফিরে আসবে। স্ত্রী নির্ঘুম রাত কাটে। দিন অতিবাহিত করে কেঁদে কেঁদে! অনন্ত অপেক্ষা! ভাবে, এই বুঝি স্বামি ফিরবে। ছোট মেয়ে বাবা বাবা করে করে কাঁদে! মাকে প্রশ্ন করে, বাবা কবে ফিরবে? মা উত্তর দিতে পারে না। মা আরো পাথর হয়ে যায়। তার কাছে উত্তর নেই।বিবেকবান বিশ্ব বাঙ্গালীও জানতে চায় ইলিয়াস আলী কোথায়? কি তার অপরাধ? তিনি কেমন আছেন কি ভাবে আছেন? এ জিজ্ঞাসা বিশ্ববাঙ্গালীর।
গণতান্ত্রিক রসিকতা
এত কান্না, প্রশ্ন, এত আহাজারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বল্লেন, এটি ’বিএনপির নাটক’। অন্যত্র বলেছেন ‘তোমাদের রেব তোমাদের আরো খাবে’। সে দিন এমপি মুন্নুজান শেখ হাসিনার উপস্থিতেই ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর প্রতি লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘আপনি বিধবা। আপনি জানেন সে কোথায় আছে। আপনার চোখ প্রমান করে, আপনি তাকে লুকিয়ে রেখেছেন’-ইত্যাদি। কী নির্মম রসিকতা! কী অমানবিক বাক্যবাণ একজন স্বামী হারা ভদ্র মহিলার প্রতি! অথচ মুন্নুজান এবং হাসিনা দুজনই মহিলা। একজন বিধবা, অন্যজন বিধবা হবার পথে। তবে যদি ধরে নিই যে ইলিয়াসের স্ত্রী বিধবা, তা হলে কী এর অর্থ এই যে ইলিয়াসকে হত্যা করা হয়েছে, তা সরকার জানে? আর ইলিয়াস ইস্যু যদি বিএনপির সাজানো নাটক হয় জনগনের টাকায় টিকেট কিনে প্রধানমন্ত্রী দর্শক হবেন কেন? নাটকেরও তো শেষ আছে। আপনার দায়িত্ব ইলিয়াসকে ফেরৎ দিয়ে সাজানো নাটকের সুন্দর সমাপ্তি টানা। ইলিয়াস ইস্যুতে বিভক্ত গোটা দেশ, চিন্তিত বর্হিবিশ্বের কুটনৈতিক অঙ্গন, এর পরও দলের লাগামহীন কথাবার্তায় মানুষ হতাশ।
আপনি (শেখ হাসিনা) তো তাঁর কন্যা যাঁর বাবা জীবনে বহুবার মরেছেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আপনি মুন্নু-টুন্নুর জিহ্ববাকে সভাস্থলেই টেনে দিতে পারতেন। ও সব লোক দলের আবর্জনা, চামচা, আপনার শত্রু, বাচাল ব্যবসায়ির মত সব জান্তার ভাব প্রদর্শন করে মতলববাজী করছে।
গণতান্ত্রিক অত্যাচার
সংখ্যা গরিষ্ট আওয়ামী লীগের প্রতি জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল। আমি একটি বই লিখেছিলাম বঙ্গবন্ধুর জন্য। শেখ হাসিনার যোগ্যতা, অভিজ্ঞা সব ছিল। ছিল বাবার রক্ত, আবার মা-বাবা, ভাই হারানো কষ্টের সমন্বিত অনুভূতি। এ সব দিয়ে তিনি মাদার তেরেসা হতে পারতেন। তিনি পারতেন বিশ্বভূমিতে সু শাসনের অপার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। কিন্তু তিনি সে পথে এগুচ্ছেন না। তিনি বেচে নিয়েছেন প্রতিহিংসার পথ। সে পথ, যে পথ হত্যার, মিথ্যার, ঘুমের, গুমের, অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, জেল ও জুলুমের। কান্না, চোখের জল এবং রক্ত যে তাঁর খুবই প্রিয়। এ পথে বিশ্বের অনেকেই ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন। সফল হয় নি। কারুন, ফিরআউন, শাদ্দাদ, শাদ্দাম, চেঙ্গিস, খালাকু, মুসোলিনী, হিটলার, ভুট্টো-ইয়াহিয়া এখন সবাই পোকা-মাকড়ের খাবার। শেক্সপিয়ার বলেছেন, ‘রক্ত-বাহিত পথের কোন সত্য ভিত্তি নেই। অন্যের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কেউ জীবন পেতে পারে না’। ইলিয়াস আলী, সাগর-রুনি, বিডিয়ার হত্যা, সীমান্তে সীমা হীন রক্তপাত বন্ধ না করে আপনার ‘গণতান্ত্রিক বক্তৃতা’ দেশের মানুষ আর বিশ্বাস করবে না। আপনি ক্ষতি করছেন আওয়ামী লীগের। বিরোধী দল এবং স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে উৎসাহিত করছেন দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে। হরতালের নামে তারা মানুষ হত্যা করছে। তাদেরকে আপনি বল ঠেলে দিচ্ছেন গোল করার জন্য। সংসদ, সংবিধান নিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন করার জন্য মানুষ আপনাকে ভোট দেয় নি। Fault on the right side এর জন্য আপনি দায়ী হবেন। যে গণতান্ত্রিক গর্ত আপনি খুঁড়ছেন তাতে আপনি পতিত হবেন। কারণ, মান হাপারা বিয়রা লি আহীহি ফাকাদ ওকায়া ফিহ।
আপনি ৩য় শক্তিকে ভয় পান। সেটিও অগণতান্ত্রিক ভয়। সব সময় ১ম ও ২য় শক্তি ক্ষমতায় থাকবে এও এক অগণতান্ত্রিক চিন্তা। ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শক্তি থেকে শুরু করে যে কোন সংখ্যক শক্তি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ চালাবার ম্যান্ডেট পেতে পারে। এতে কার কি অসুবিধা আমি বুঝি না। তবে আপনি ৩য় শক্তি না বলে ‘অপশক্তি’ বলতে পারেন। এটি ভয়ের। তবে সত্য কথা বলতে কি ‘অপশক্তি’র ভয় আপনিই জাতিকে দেখাচ্ছেন। অজাত, অচেনা, পরাশক্তি, মরাশক্তি, অক্ষ, বিপক্ষ ও পশুশক্তির নব দ্বার আপনিই খুলে দিচ্ছেন।
গণতান্ত্রিক পশু
পশুদেরও সমাজ ব্যবস্থা আছে। আছে নিয়ম-নীতি, মিল-মহব্বত এবং সমবেদনা বোধ। একটি প্রাণী আক্রান্ত হলে তার স্বজাতীয়রা সাহার্য্য করতে এগিয়ে আসে।কুকুরের প্রভু-ভক্তির কথা সে ৩য় শ্রেণিতেই তো পড়েছি। পড়েছি, কি ভাবে কুকুর সাগরে ঝাঁপ দিয়ে তার পালককে রক্ষা করেছিল। পড়েছি, আমেরিকার একটি কুকুর ১৪ বছর ধরে তার প্রভুর কবরে দিয়ে কেন অঝোরে কেঁদেছিল। ইউরোপের প্রায় প্রতিজনের কাছে কুকুর থাকে। তারা এদের ছেলে-সন্তানের মত আদর দিয়ে লালন পালন করে। সামরিক বাহিনীতে কুকুরের মর্যদার কথা সবার জানা। হযরত ওমর (রাঃ)বলেছেন, আমার রাজ্যে একটি কুকুরও যদি ক্ষুধাত্ব থাকে কিয়ামতের ময়দানে আমি ওমর এর জন্য দায়ী। কারণ, কুকুরটি আমার প্রজা। পবিত্র কুরআন মতে, কিতমির নামে একটি কুকুর বেহেস্তে যাবে তার মহানুভবতার জন্য। ‘মহানুভব কুকুর’! আমাদের একটু- আধটু শরম থাকা উচিৎ।
উল্লেখ্য, এ বছর ‘বৃটেন গট দ্যা টেলেন্ট’ নামে সাড়া জাগানো টিভি শো তে একটি কুকুর প্রথম হয়েছে। কুরআন মতে, মানুষ স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃজন। আবার মানুষই পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। কারণ, কুকুর কুকুরের গোস্ত, বাঘ বাঘের গোস্ত এবং শিয়াল শিয়ালের মাংস খায় না, কিন্তু মানুষ মানুষের মাংস খায়। রক্ত নিয়ে খেলা করে। প্রাণ নিয়ে করে রসিকতা। এর চেয়ে বিশ্রী কথা আর কি হতে পারে সমাজে?
মানুষের দাঁত নাকি বত্রিশটি, তবে মুন্নুজান সহ সরকারদলীয় লোকেরা কেন যে তেত্রিশ দাঁতে কথা বলেন তা দেশের মানুষের বোধগম্য নয়। একজন সবহারা নারীর প্রতি কেন এ কটাক্ষ, কেন পোড়া ঘায়ে নুনেন ছিটা, মরার উপর খাড়ার ঘা তার উত্তর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে, কারণ, মুন্নুজান তাঁরই দলীয় এমপি, তিনি কটাক্ষ করেছেন তাঁর উপস্থিতেই। প্রধানমন্ত্রী তখন নিরব ছিলেন। নিরবতা সম্মতির লক্ষ্মণ। কেন এত অহংকার দলটির? ইউরোপে সামার আসার সাথে সাথে সর্দি, কাশি, নাকের পানি, গায়ের জ্বর এবং হেই পিভারও আসে। এটি প্রকৃতির শিক্ষা, সুখের অসুখ। গ্রে’র একটি বিখ্যাত উক্তি হল, ‘গৌরব পথ দেখায় কিন্তু তা কবরের’।
রক্তাক্ত গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
আজ ইলিয়াস আলীর জন্য আওয়ামী লীগের কষ্ট হয় না। কাল রহমত আলীর জন্য বিএনপি কাঁদবে না। বিএনপি প্রতিহিংসা পরায়ণ হবে।বিরোধী দলীয় লোক দেখে দেখে গুম করবে, চিরতরে ঘুম পাড়াবে, জেলে নেবে। বেঞ্জামিন বলেছেন, হত্যা হত্যা ডেকে আনে। আরবীতে বলে কামা তুদিনু, তুদানু।
অথচ এমন নারকীয় পরিবেশ দেশবাসি চায় না। কোন দিন চায় নি। আম জনতা চায় এ সব নোংরামি বন্ধ হোক। দেশে শান্তি শৃংখলা ফিরে আসুক। দেশের মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব ফিরে আসুক। ইলিয়াস আলীর রক্ত, শেখ মুজিবুর রহমানের ব্লাড, এবং একজন রিক্সা চালকের লহু’র দাম সমান হোক।
গণতান্ত্রিক আবেদন
ইলিয়াস আলী বাংলার সম্পদ। তারপরও বলব ইলিয়াস আলীর প্রশ্নে অন্ততঃ ইউকে প্রবাসী বৃহত্তর সিলেট জেলার ভায়েরা এক প্লাটফর্মে আসার, একতা হবার, এক কথা বলার একটি ভাল সুযোগ ছিল। ধর্ম, দল, দর্শন মত, পথ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইলিয়াস আলীর জন্য তাঁরা আন্দোলন, সভা, সেমিনার, মিছিল, মিটিং করতে পারেন। সবাই এক কণ্ঠে বলতে পারেন ‘ইলিয়াস আলীকে ফেরত চাই’। আপনারা ইলিয়াস আলীকে জীবিত ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করুন। বিষয়টি ইউরোপীয়ান কোর্ট এবং জাতি সংঘে উত্থাপন করুন। বাংলাদেশ দেখুক শান্তির জন্য আপনাদের বুকে কত শক্তি।
২৭.০৫.’২১ লন্ডন
লেখক: কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার ও অনেকগুলি গ্রন্থের রচয়িতা।
এই লেখার বানান বা অভিমত সংশ্লিষ্ট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
পূর্বে প্রকাশ :