Saturday 11 June 2011

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আলোকিত সিলেটে

মোঃ কয়েছ মিয়া,ওসমানীনগর ::
হযরত শাহ জালালের পূণ্য ভূমি আধ্যাতিক অঞ্চল সিলেটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অফুরন্ত ভান্ডার। প্রকৃতিক লীলা ভূমির অপার সৌন্দর্য্য মানুষের মনকে মনোমুগ্ধকর করে তুলে। যেন খোদার অপার সৃষ্টি নিজ গুণে গুনান্বিত স্থানগুলো। যেকোনো মানুষের মনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এই স্থ্নাগুলো । একজন পর্যটকের মন জুরায় এসব স্থান দেখে। সিলেট এলাকার বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য্যর জন্য বিখ্যাত।
সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় খোদার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যর ফুলকি যেন নিজ হাতে ছিটিয়ে দিয়েছেন । আর তাই পর্যটন নির্ভর এলাকা থাকায় দিন দিন পর্যটকদের আগমন বেড়েই চলছে। হাজার হাজার দর্শকের ভিড় জমে উঠে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন এসব দর্শনীয় স্থানে।এর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় হল-জৈন্তাপুর,জাফলং,মাধবকুন্ড,ভোলাগঞ্জ মৌলভীবাজার,লাউয়াছড়া ইকোপার্ক,বিমানবন্দর,চা বাগান,শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয়,ওসমানী মেডিকেল কলেজ,এমসি কলেজ,কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।হরিপুর,বিবিয়ানা তেল ত্রে। এছাড়া হযরত শাহ জালাল(রহ.) ও হযরত শাহ পরান(রহ.)সহ ৩৬০ আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। সিলেটে ঐতিহাসিক স্থাপনা হল ভিআইপি সার্কিট হাউজ,সিলেট রেল ষ্টেশন,ক্বীন ব্রিজ,আলী আমজদের ঘড়ি,সুরমা নদীর তীর বেষ্টিত হওয়ায় সৌন্দর্য্য ফুটে ওঠে বয়ে যাওয়া স্রোত আর রাতের আলোর ঝলকানিতে। রাতের বেলায় লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে সুরমা নদীর তীর। তবে বেশীরভাগ মানুষ ছুটে যান প্রকৃতি কন্যা জাফলং,খাসিয়া পল্লী,শ্রীপুর,মাধবকুন্ড সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। যেখানে প্রতিদিন শতশত মানুষ ভিড় জমায় । নীল আকাশে পাহাড় যেন হেলান দিয়ে শুয়ে আছে ভোলাগঞ্জ এলাকা । এছাড় মরমি কবি হাসন রাজার বাড়ী,বঙ্গবীর ওসমানীনর বাড়ী,এসব স্থান দেশ বিদেশে সুনাম থাকায় প্রতিদিনই উক্তস্থানে বেড়াতে আসেন  সৌন্দর্য্য পিপাসুমনা মানুষ। তাই হঠাৎ করে ভ্রমন করা ইচ্ছা তিন দিনের সময় নিয়ে বেড় হওয়ার পরিকল্পনা করলাম। সেদিন ছিল শুক্রবার ৮ এপ্রিল ভ্রমণ করার জন্য মনস্থ করি। যেই কথা সেই কাজ বেড় হয়ে গেলাম প্রাইভেট কার রিজার্ভ করে আমরা চার জন এর মধ্যে আমি,রাজন ও ঢাকার দুজন বড়ভাই আব্দুর রহিম ও টুটুল আহমেদ। কি অপরুপ সেুৗদর্য্য  যা না দেখলে বুঝার উপায় নেই। এখানে গেলে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা  অর্জন হবে। দেখতে পাবেন বিশ্ববিখ্যাত বৃষ্টিবহুল পাহাড়ী এলাকায় ভারতের চেরা পুঞ্জি পাহাড় । এ পাহাড়ের গা ঘেষে পড়ছে প্রায় ১০টি পানির ঝর্ণা বহমান । রাস্তায় যাবার সময়দেখতে পাবেন। তাই ঘুরে আসতে পারেন সিলেট বিভাগের অন্যতম চমৎকার এলাকা প্রকৃতির লীলাভূমি প্রকৃতি কন্যা জাফলং। সিলেট শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের রাস্তা পৌছতে সময় নিবে প্রায় দেড়ঘন্টা। নিজেরা গাড়ি রিজার্ভ করে যেতে পারলে ভায় হয় সময় বাচবে। আবার সিলেট থেকে যাত্রীবাহী বাসে যাওয়া যায়। তবে যে বাহনেই আপনি যান না কেন,জাফলং যেতে খুব সকাল বেড় হতে হবে যাতে আপনি সকাল সকাল ভ্রমণ করে সন্ধ্যার আগে সিলেট শহরে ফিরতে হবে কারণ এখানে ভালো তেমন কোনো আবাসিক হোটেল নেই আর যা কয়টা আছে ব্যয়বহুল। আর যাদের বাসা বা বাড়ী কাছে তাদের আবার কোনো সমস্যা নেই। জাফলং এর দর্শনীয় দিক হচ্ছে চা বাগান পাহাড় থেকে পাথর উত্তোলন পানির লেক। জাফলং এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে মারি নদী আর খাসিয়া পাহাড়ের আকাবাক পাহাড়। মারি নদীর উৎপত্তি হিমালয় থেকে এ নদীর স্রোতে ল ল টন পাথর চলে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। নদীটি আবার পিয়াইন নদী নামে পরিচিত। জাফলং হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সমৃন্ধ সম্পূর্ণ পাহাড়ী এলাকা যা সবুজ পাহাড়েরর  অরন্যে ঘেরা। এখানে প্রচুর বনজ প্রাণীর আবাস রয়েছে।  বনের কাছকাছি গেলে সতর্ক থাকতে হবে। দেখতে পারবেন  খাসিয়া উপজাতির জীবন ও জীবিকা। নিজের রিজার্ভ করা গাী থাকলে  জাফলং যাবার পথে আরো অনেক কিছু উপভোগ করতে পারবেন । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জৈন্তাপুর রাজ বাড়ী,শ্রীপুর এবং তামাবিল স্থলবন্দর,মাগুর ছড়া। যদি জাফলং এ ভ্রমনের পারিকল্পনা থাকে তাহলে সারাদির বেড়িয়ে এসে সিলেট আসাটা মাথায় রাখবেন। সাধারণত শীতকালে জাফলং ভ্রমণের উপযুক্ত সময় তবে পাহাড়ী ঝর্ণা উপভোগ করতে চাঁদনী রাতে আসা উচিৎ। জৈন্তাপুর রাজবাড়ী জাফলং থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে,এখানে আছে সুন্টদর চা বাগান। সিলেট শহরের দণি পশ্চিমে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শ্রীপুর ভ্রমণের পর জৈন্তাপুর রাজপ্রসাদ পরিদর্শন করতে ভূলবেন না। ১৮ শতক জায়গায় জৈন্তা রাজার রাজধানী ছিল। এটি জৈন্তাপুর বাজারের কাছে। রাজ প্রসাদটি বর্তমানে ধ্বংসের পথে তবুও অনেক পর্যটক জৈন্তা রাজার অস্থিত্তের নিদর্শন দেখতে আসে ।